Tuesday, 19 June 2018

নীল টিপ



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মোড়ে ওরা কয়েকজন বান্ধবী জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। থেমে থেমে হাসির ঝংকার তুলছে ওরা। এ বয়সী মেয়েদের এমন উচ্ছ্বল চঞ্চল হাস্যোজ্জ্বল না হলে মানায় না। পাশের চায়ের স্টলে বসে থাকা অর্নবের নজর ওদের মধ্যকার নীল টিপ পরা মেয়েটির দিকে। ওর পরনে সবুজ রঙের কামিজ। কামিজের প্রান্তে নীল কাপড়ের সেড।  গলায় নীল রঙের ওড়না পেঁচানো। হাস্যোজ্জ্বল মেয়েটি অর্ণবের কাছে অসাধারণ লাগছে। হাসার সময় মেয়েটির গালে টোল পড়া, নজর এড়ায়নি অর্ণবের। রোদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় হঠাৎ বৃষ্টি নামল। টিপ পরা মেয়েটি ছাড়া সবাই দৌঁড়ে পাশের একটি ছাউনীতে গেল। মেয়েটি দাঁড়িয়ে রইল। আকাশের দিকে চেয়ে দুই হাত মেলে ধরল, যেন বৃষ্টি ধরছে। মাথার উপরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা মেয়েটির কোঁকড়ানো চুল বেয়ে শরীরে চুইয়ে পড়ছে। চোখের পাতায় জমা ছোট ছোট বৃষ্টির কণা সূর্যের আলোতে চিক চিক করছে। গোলগাল মুখে জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো সূর্যের আলোয় মুক্তোর দানার মত জ্বল জ্বল করছে। বৃষ্টির কণা আর সূর্যের আলোর প্রলেপ ওর মুখাবয়বকে এক অসাধারণ শৈল্পিক রুপ দিয়েছে। মনে হচ্ছে প্রকৃতির পার্লারে সাজতেই দাঁড়িয়ে ছিল।  ভাবনা অর্ণবের। মেয়েটির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। জীবন সঙ্গী হিসেবে এমন একটি মেয়েকেই খুঁজছিল অর্ণব। ছাউনী থেকে বান্ধবীরা গলা ছেড়ে ডাকছে-তন্দ্রিমা বৃষ্টিতে আর ভিজিসনা, জ্বর আসবে । ওদের দিকে তাকিয়ে তন্দ্রিমা বলল, আমার কিছু হবে না বরং তোরা আয় সবাই মিলে মজা করি।

বৃষ্টি থেমে গেছে। অর্ণব মেয়েটির কাছাকছি গিয়ে দাঁড়াল। অর্ণবের চোখে চোখ পড়তেই মেয়েটির মুখে যেন অমাবস্যার ঘন কালো অন্ধকার নেমে আসল। অদূরে  দাঁড়িয়ে থাকা একটা রিক্সাকে ইশারায় ডাকল। আমি চললাম, তোরা আয় রে বলেই তড়িঘড়ি রিক্সায় উঠল । মেয়েটির হাতের ধাক্কায় রিক্সাওয়ালা প্যাডেল ঘোরাতে শুরু করল। অর্ণব রিক্সার দিকে  তাকিয়ে রইল। কয়েক মিনিটের মধ্যে রিক্সাটি রাস্তার বাঁকে হারিয়ে গেল । 

অর্ণব একটি বেসরকারী ব্যাংকের ফার্মগেট শাখায় চাকরী করে। অফিস ছুটির পরে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন টিএসসি ঘুরে বাসায় ফেরে। উদ্দেশ্য- নীল টিপ পরা মেয়েটিকে এক নজর দেখা। অধিকাংশ দিনই টিএসসিতে পাওয়া যেত ওকে। অর্ণবের সাথে তন্দ্রিমার বেশ কয়েকদিন কথা হয়েছিল। কিন্তু  সাহস করে ওকে ভালোলাগার কথাটি কখনও বলতে পারেনি। শেষ দেখা হয়েছিল গত বছর মার্চের ১৫ তারিখ। এরপর থেকে আর টিএসসিতে দেখা যায়নি ওকে। অর্ণব খোঁজ নিয়ে জেনেছে এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে তন্দ্রিমার মাষ্টার্সের রেজাল্ট হয়েছে। এর কয়েক দিন পরেই ওর বাবা মারা যায়। তন্দ্রিমা সবার বড়। তাই সংসারের দায়িত্ব পালন করতে সম্প্রতি একটা বেসরকারী ব্যাংকে চাকরী নিয়েছে । তবে কোথায়, কোন ব্যাংকে -তা জানতে পারেনি।

১৬ শ্রাবন। প্রথম দেখার দিন। পড়ন্ত দুপুরে ঘরের ঝুল বারান্দায় বসে আছে অর্ণব।  আকাশের দিকে চেয়ে সাদা মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি খেলা দেখছে। হঠাৎ বৃষ্টি নামল। মেয়েটিকে প্রথম দেখার সেই মুহুর্তগুলো চোখের পাতায় ভেসে উঠলো । অর্ণব রঙ তুলি নিয়ে পুরোদস্তুর শিল্পীর মত  ছবি আঁকতে বসল। একান্ত নিবিষ্ট মনে ছবি আঁকছে অর্ণব।  ছবি আঁকায় যথেষ্ঠ দক্ষতা আছে ওর।  অর্ণবের এক জ্ঞাতি সর্ম্পকীয় কাকা ওদের বাসায় থেকেই চারুকলা ইন্সটিটিউটে পড়তো। ওই কাকাই ওকে সুন্দর করে ছবি আঁকা শিখিয়েছে। ছবি আঁকা প্রায় শেষের পথে, কপালের টিপটির রঙ করলেই শেষ হয়ে যায়। অর্ণবের ছোট বোন রুনু ওর রুম থেকে ভাইয়ের ছবি আঁকা দেখছিল। অনেকদিন পর ভাইয়াকে ছবি আঁকতে দেখে ওর বেশ কৌতুহল হল। নিঃশব্দে চুপি চুপি অর্ণবের পাশে এসে বসল। একটা মেয়ের ছবি। পরিচিত কেউ কিনা মিলিয়ে দেখছে রুনু। এরমধ্যে কপালের টিপটির রঙও সম্পন্ন করেছে অর্ণব। অনেকক্ষন চুপচাপ বসে আছে রুনু। আর মুখ বুজে থাকতে পারলো না। বলে উঠল, ‘যাক বাবা এবার হয়তো মায়ের ইচ্ছাটা পূরণ হবে। অর্ণবকে হালকা ধাক্কা দিয়ে রুনু বলে, ভাইয়া অসাধারণ মেয়ে। ন্যাচারাল স্মাইলিং । আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ভাইয়া নিল টিপটাতে ওকে অসাধারন দেখাচ্ছে। যাই মাকে খবরটা দিই।’ দুষ্টমিভরা কথাগুলো বলেই এক দৌঁড়ে মায়ের ঘরে চলে গেল। উৎফুল্ল রুনু মাকে এক প্রকার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসলো। ততক্ষণে আঁকা আঁকির সব সরঞ্জাম ব্যাগে ভরে ফেলেছে অর্ণব। মা অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল, “বাবা মেয়েটি কে? মেয়েটি কি তোমার পছন্দ? আমাকে আগে বলনি কেন?” মায়ের বিরামহীন প্রশ্নে লজ্জা ও রাগ দু’টিই হচ্ছিল অর্ণবের। রুনুর কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হলো ওকে। অর্ণব  রুনুর দিকে তাকিয়ে চোখের ভাষায় শাঁসাল। আমি আবার কি করলাম, ভ্রু কুঁচকে বলল রুনু। অর্ণব ওর দিকে চেয়ে চোখ মোটা করতেই রুনু দ্রুত স্থান ত্যাগ করল ।

অনেক দিন পর লামিয়ার ফোন।‘তন্দ্রিমা কেমন আছিস?  নতুন অফিসে নতুন সহকর্মীদের সাথে কেমন কাটছে? কোন সমস্যা হচ্ছে নাতো? ’ ‘আরে না। তোর ছৌঁয়ায় বদলে যাওয়া তন্দ্রিমা এখন সব সমস্যাকে সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। ফার্মগেট শাখায় আগের শাখার তুলনায় কাজের চাপ অনেক বেশি। কাজের চাপে তোকে একটা কথা বলাই হয়নি। জানিস নতুন অফিসে আমার পাশের চেয়ারে উনি বসেন।’ তন্দ্রিমা বলল। অপর প্রান্ত থেকে লামিয়া আগ্রহের সাথে জানতে চাইল, ‘উনি কে রে?’ উত্তরে তন্দ্রিমা বলল,‘আরে যিনি আমাদের সাক্ষাত পেতে প্রায় টিএসসিতে আসতেন।’ ‘ও আচ্ছা বুঝেছি। পরিচয় হয়েছে নাকি? ’ ‘হ্যাঁ ইশরাত সুলতানা নামে পরিচয় হয়েছে।’ লাইন কাটিস না অনেক কথা আছে। তন্দ্রিমা বলে চলে-‘একদিন ওর ছোট বোন রুনু অফিসে এসেছিল। ওর কাছ থেকে জেনেছি নীল টিপ পরা মেয়েটির কথা। ও নাকি এখনও আমাকে খুঁজে ফিরছে। প্রায় নাকি টিএসসি হয়ে বাসায় ফেরে। রুনুর কথার সত্যতা যাচাইয়ে একদিন পিছু নিয়েছিলাম। ওর বোনের কথা আসলে সত্যি। টিএসসির তন্দ্রিমাকে অর্ণব খুব ভালোবাসে অথচ পাশের তন্দ্রিমার দিকে ফিরেও তাকায় না।  প্রয়োজন ছাড়া কথাও বলে না।” একটু নরম গলায় তন্দ্রিমা বলে, তুই ব্যস্ত থাকলে---। ‘আরে বলে যা ব্যস্ততা সব ছিঁকেই তুলে রাখলাম’ বলল লামিয়া। তন্দ্রিমা বলে, ‘ওর ছোট বোন রুনুকে সেদিন অফিসে লাঞ্চ করিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়ার ফাঁকে ওর কাছে জানতে পারলাম  টিএসসিতে দেখা নীল টিপ পরা তন্দ্রিমা নামের এক মেয়েকে ওর ভাই খুব ভালোবাসে। ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না বলে মনস্থির করেছে। ভাইয়ের এমন সিদ্ধান্তের কারণে ওর  মা নাকি অনেকটা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। বোরখা পরে থাকায় মি.অর্ণব তার খুঁজে ফেরা তন্দ্রিমাকে এখনও চিনতে পারেনি। প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলে তন্দ্রিমা বলে, ‘সত্যি বোরখা একটা মেয়েকে কতটা নিরাপদ রাখতে পারে তা তোর ছোঁয়া না পেলে বুঝতে পারতাম না। জানিস অফিসের কলিগরা আমাকে যথেষ্ঠ সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। সব কিছুই তোর জন্য সম্ভব হয়েছে।’ লামিয়া বলল, ‘সবই আল্লাহর তরফ থেকে হয়। আল্লাহ তোকে কবুল করেছে। তাই সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ তোর মঙ্গল করুন। আজ রেখে দিচ্ছি পরে আবার কথা হবে।’

ব্যাংক ছুটি পর বেরুনোর সময় ম্যানেজার অর্নবকে ডাকল । ‘অর্ণব রাত ৯টার দিকে আমার বাসায় এস। তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখতে যাব। গতকাল তোমার মা বাসায় এসেছিলেন। কাল রাতেই তোমার মা, তোমার কাকী, রুনু ও আমি মেয়েটিকে দেখে এসেছি। মেয়েটি আমাদের পছন্দ হয়েছে। একটু থেমে রশিদ সাহেব বলেন, তোমার বাবা আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। বন্ধু বেঁচে নেই। ওর অবর্তমানে তোমার প্রতি আমার দায়িত্ব কর্তব্য আছে। আমি তোমার সম্পর্কে  সবকিছু আমি জানি। সব কিছু যেন শুনেই  তোমাকে ওখানে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। মেয়েটি তোমার কাকীর রিলেটিভ। ফ্যামিলি স্ট্যাটাসও ভালো। সার্ভিস করা মেয়ে। আশাকরি তোমার পছন্দ হবে । অর্ণবকে কোন সুযোগ না দিয়েই একনাগাড়ে কথাগুলো বললেন ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদ।

ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদের কাছে অর্ণবদের পরিবার নানা কারণে ঋনী। বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের হাল ধরতে চাকরীর পিছনে অনেক ছুটেছিল অর্ণব। চাকরী জোটাতে পারেনি। মায়ের অনুরোধে রশিদ সাহেবের প্রচেষ্টায় ব্যাংকে চাকরী হয় তার। বন্ধুর ছেলে বলে নিজের ব্রাঞ্চে পোষ্টিংও করিয়েছে।

অর্ণব বাসায় ফিরে কাপড় না ছেড়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। রাত ৯টায় রশিদ সাহেবের সাথে মেয়ে দেখতে যেতে হবে।  কি করবে অর্ণব কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। তন্দ্রিমাকে দেখার পর থেকে অন্য কোন মেয়েকে ওর পছন্দ হয়নি। এ মেয়েও পছন্দ হবে না এটা নিশ্চত। অর্ণব এখনও বিশ্বাস করে একদিন ঠিকই তন্দ্রিমার সাথে ওর দেখা হবে। তন্দ্রিমাকে ওর ভালোলাগার কথা বলবে। ঠিকই ওর ভালোবাসার জয় হবে। তন্দ্রিমার স্থলে অন্য কাউকে ভাবতেই শিউরে উঠছে অর্ণব। এলো মেলো ভাবনায় শরীরের নার্ভগুলো দূর্বল যেন নিস্তেজ হয়ে গেছে। উঠে দাঁড়ানোর শক্তি যেন হারিয়ে ফেলেছে ।
রাত ৯ টা বেজে গেছে। রশিদ সাহেবের  বাসায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অর্ণব। ফোন বন্ধ করার জন্য মোবাইল হাতে নিতেই রশিদ সাহেবের কল আসল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিছানা ছেড়ে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেস হল। রাত প্রায় সাড়ে ৯টার সময় ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদের বাসায় পৌঁছাল অর্ণব।
রশিদ সাহেব গাড়ি নিয়ে রেডি। রুনু আগে থেকেই গাড়িতে বসে ছিল। স্যারের সামনে বকতেও পারছে না। নীরবে সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। অর্নব সুবোধ বালকের মতো ম্যানেজারের গাড়িতে উঠে রওয়ানা হল। 

রাত ১০টা । সিদ্ধেশ্বরীর ২৯ নং রোডের ২০নং বাসার সামনে এসে গাড়ি থামল। হর্ণ বাজতেই মাঝ বয়সী এক লোক দরজা  খুলে ড্রয়ই রুমে বসতে দিলেন।  লোকটি মেয়ের মামা বলে পরিচয় করিয়ে দেন ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদ। মেয়ের মামা নানা রকম খাবারে আন্তরিকতার সাথে আপ্যায়ন করালেন।
‘রুনুটা এসেই ভিতরে ঢুকেছে। এক সাথে খাবারও খেল না। ওর অনেক বাড় হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো মেয়েটিকে নিয়ে আসা হবে। বদমায়েশটা এখনও আসছে না।  আজ বাড়ি যাই তারপর দেখাব মজা।’ বিড়বিড় করে বলছিল অর্ণব। 
অর্ণব মাথা নিচু করে বসে আছে। মেয়েটি ওদের সামনে একটা কাঠের চেয়ারে বসতে দিল । রুনু অর্ণবের পাশে গিয়ে বসল।  মৃদু খোঁচা দিয়ে রুনু ফিসফিস করে বললো, ভাইয়া ভালো করে দেখ। আমাদের তো আগেই পছন্দ হয়েছে। এখন তোমার হলেই--। অর্ণব মাথা উচুঁ করে। মেয়েটির পাশে সেই বান্ধবীদের কয়েকজন। হতচকিত হল অর্ণব। মেয়েটির কপালে নীল টিপ, সবুজ কামিজ, কামিজের প্রান্তজুড়ে নীল কাপড়ের সেড। প্রথম দেখা সেই পোষাকে। । স্বপ্ন দেখছি নাতো! নাকি হ্যালুসুলিনেশনে ভুগছি? পরপর কয়েকবার চোখের পলক ফেলে ভালো করে দেখল। না সেই মেয়েটিই। কিছুক্ষণ থেকে ম্যানেজার রশিদ আহম্মেদ সবাইকে নিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। মেয়েটির সাথে থেকে গেল নেকাব পরা একটি মেয়ে। মেয়েটি অর্ণবকে উদ্দেশ্য করে বললো, ‘আমি লামিয়া। তন্দ্রিমার ঘনিষ্ট বন্ধু। আপনার খুঁজে ফেরা তন্দ্রিমা এখন আপনার সামনে। কর্মস্থলে আপনার পাশের চেয়ারেই বসে। বোরখা পরে থাকায় চিনতে পারেননি।’ মুচকি হেসে  মেয়েটি বলল, ‘এখন থেকে আর টিএসসি ঘুরে বাসায় ফেরার দরকার নেই।  আপনার ছোট বোন রুনুর কাছ থেকে তন্দ্রিমা সব জেনেছে। আপনাকে তন্দ্রিমা পছন্দ করে।’ একটু থেমে আবার বলে, তন্দ্রিমা অনেক  ভালো মেয়ে। আশাকরি ওকে  নিয়ে সুখে থাকবেন ।’ লামিয়ার কথা শেষে হতেই অর্ণব উপরের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তন্দ্রিমার দিকে তাকাল। ওকে কি যেন বলতে চাইল । বেশ কিছু সময় কেটে গেল কিন্তু অর্ণবের মুখ দিয়ে একটি কথাও বের হলো না ।



No comments:

Post a Comment

Nine-Ten Organic Chemistry